এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি প্রতিনিয়ত উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ রোববার সন্ধ্যা বা মধ্যরাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র। প্রতিনিয়ত ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে সাগর। ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়েছে পানির উচ্চতা। বড় বড় ঢেউয় আঁচড়ে পড়ছে বালিয়াড়িতে। অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টিপাত। সেই সাথে বাড়ছে বাতাসের গতি। এই অবস্থায় সাগরে না নামতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে সৈকতে পর্যটক ও স্থানীয়দের দেখা গেছে ছবি তুলতে ব্যস্ত। ছবি তুলতে গিয়ে সাগরের করাল গ্রাসে তলিয়ে গেছে পর্যটকদের কয়েকটি মোবাইলও। অনেকেই ছুটে আসছে সাগরের অবস্থা দেখার জন্য। অনেকেই বালিয়াড়িতে বীচ বাইক নিয়ে আনন্দে মজেছেন। তবে অধিকাংশ পর্যটক অবস্থান করছে হোটেলের রুমে।
ঢাকা মিরপুর থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটক রাহী ও পায়েল জানান, ‘২ দিন হলো কক্সবাজারে আসা। এখানে এসে ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁদে পড়ে গেলাম। রুমে বসে থাকতে বিরক্ত লাগছিল তাই সমুদ্র দেখতে ছুটে আসা।’
আরেক পর্যটক দম্পতি রাহেলা কামাল ও মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আসলে সাগরের এই রূপ আগে কখনও দেখা হয়নি। সত্যিই অনেক ভাল স্মৃতি নিয়ে ফিরবো কক্সবাজার থেকে। সাগরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আমরা চলাফেরা করছি।’
সকালে সৈকতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আপদকালীন সময়ে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নাম্বার হলো ০১৮৭২৬১৫১৩২। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। মজুদ আছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।